শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু
অনেকে মৃত মানুষ দেখেন বলে দাবি করেন। তারা আসলে কাকে দেখেন হ্যা সত্যিই সত্যিই অনেকে মৃত্যুর পরেও তাকে দেখেন তবে তারা মৃত মানুষ দেখে না তারা দেখেন তাদের রুপকে আর সেই রুপ নেয় জিন। প্রশ্ন আসতে পারে জিন কেনোই বা মৃত মানুষের রুপ নিবে প্রতেক মানুষের সাথে দুই জন ফেরেস্তা দিনে এবং দুই ফেরেস্তা রাতে থাকে। ফেরেস্তা ছারাও একজন জিন থাকে এই জিন কে কারি জিন বলা হয়। প্রসগত বলা উচিত শয়তান জিন দেরি একজন তবে সব জিন শয়তান নয়। আর মহান আল্লাহ্ তাআলা বলেন আমি যখন ফেরেস্তাদের বলেছিলাম তোমরা আদমকে সিজদা কর অতপর তারা সিজদা করল কিন্তু ইবলিশ ব্যাতিত সে ছিন জিন দেরি একজন। কারি জিন হলো একটা শয়তান জিন যার কাজি হলো সবসময় মানুষের সাথে থেকে তাকে কূমন্তনা দেওয়া সব মানুষের সাথে এই জিন রয়েছে এমনকি আমাদের প্রিয় নবি হযরত মুহাম্মাদ (সা:) এর সাথেও ছিল।
তবে মহান আল্লাহ্ তাআলার বিশেষ রহমতে শুধু মাত্র নবি করিম (সা:) এর কারি জিন ছিল ভালো জিন। হযরত মুহাম্মাদ (সা:) বলেন তোমাদের প্রতেকে জিনের মধ্যো হতে এক জন সংগী কারি জিন দেওয়া হয়েছে। সাহাবাগণ জিজ্ঞাসা করলেন এমনকি আপনাকেও ইয়া রাসুল আল্লাহ্ তিনি বলেন হ্যা তবে এখন সে আমাকে শুধু ভালো কাজ করতে বলে। একজন মানুষের সাথে সবসময় সে থাকায় এই কারি জিন সেই মানুষ টির সকল কাজকর্ম সম্পকে অবগত থাকে। কোন গনক কিংবা ফকিরের কাছে গেলেন অতপর সে আপনাকে দেখে বলেদিলেন তুই গত সপ্তাহে এই এই কাজ করেছিস আপনি অবাক হয়ে গেলেন সত্যিয় তো আমি এই এই কাজ করেছিলাম কিন্তু ফকির বা গনকের এই সব জানার কোন ক্ষমতা নেই তারা সেই মানুষটির কারি জিনের সাথে যোগাযোগ করে এর মাধ্যমে জেনে আপনার সব কিছু বলে দিতে পারে। তবে গাইবি বা অদৃশ্য খবর গুলো জানার ক্ষমতা একমাত্র মহান আল্লাহ্ ছারা মানুষ বা জিন কারোরি নেই।
হযরত সুলাইমান (আ:) এর মৃত্যুর অনেক দিন পরেও জিনেরা গাইবি ভাবে বুঝতে পারেনিই তিনি মারা গিয়েছেন যতখন না উল পোকার কারণে লাঠি ভেঙ্গে পরে যান। যারা শয়তানের পূজারি হয় তাদের বিভিন্ন কাজে শয়তান সাহায্য করে থাকে। যাতে তারা এগুলোকে কেরামতি বা বুজুরগের কাজ মনে করে মানুষ তাদের ভুক্ত হয়ে যায় ও শয়তাদের পথে তারা চলতে শুরু করে। জিন দের কিছু বিশেষ ক্ষমতা ও বৈশিষ্ট রয়েছে এর একটি হলো তারা মানুষের রূপ সহ যেকোন প্রাণীর রূপ নিতে পারে শুধু মাত্র হযরত মুহাম্মাদ (সা:) এর রূপ নিতে পারেনা। বদরের যুদ্ধে শয়তান সুরাকাবিন মালিকের রূপ নিয়ে এসেছিল তা ছারা অদৃশ্যে থেকেয়ো জিনেরা বিভিন্ন কথা বলতে পারে এবং শব্দ করতে পারে।
জিনেরা কখনোই তাদের আসল রূপ অর্থাত মহান আল্লাহ্ তাদের যে রূপে সৃষ্টি করেছে সে রূপে মানুষের সামনে আসতে পারেনা। কেই যখন আত্মহত্যা করে মারা যায় তার কারি জিন সংগী হারা হয়ে যায় তখন সে মাঝেমাঝে সেই ব্যক্রির রূপ নিয়ে চলাফেরা করে। এমন কি কখনো কখনো সে মৃত ব্যক্রির রূপে কারো সামনে এসে বিভিন্ন কথাও বলে। প্রতেক মানুষের সাথে থাকা কারি জিন সেই মানুষ সম্পকে সবকিছুই জানে। তাই অনেক সময় মৃত ব্যক্রির রূপ নিয়ে এসে এমন ভাবে কথা বলবে এমন কিছু তথ্য দিবে তখন মনে হবে সত্যিই মৃত ব্যক্রির আত্মা এসেছে। শুধু কারি জিনি নয় অনেক সময় অন্য শয়তান জিন মৃত মানুষের রূপ নিয়ে আসে।
যেকোন শয়তান জিনের উদ্দেশ্য হয় মানুষকে কষ্ট দেওয়া ভয় দেখানো মানুষকে বিভিন্ন ভাবে বিভান্ত করে বিশ্বাসকে ভিন্ন পথে নিয়ে যাওয়া। কুরআন হাদিস অনুজাই মৃত্যুর পর কখনোই আত্মা পৃথিবীতে ফিরে আসতে পারেনা এটাই বিশ্বাস করাই ইমান। অথচো জিন শয়তান মৃত ব্যক্রির রূপ নিয়ে এসে মানুষের মধ্যে আত্মা ফিরে আসার ভান্ত বিশ্বাস ডুকে দেয়। তবে বাস্তবে জিন কে মানুষ খুব কম দেখে। বেশির ভান ক্ষেতেই মানুষ ভুল দেখে বা কল্পনায় মৃত্য মানুষ দেখে যাকে হ্যলুসিলেশন বলা হয়।
শয়তান সবসময় মানুষকে ধোকা দেওয়ায় লিপ্ত থাকে। শয়তান জিন সবসময় দুরবল মানুষকে উপর পোভাব বিস্তার করেতে ও ভয় দেখাতে পছন্ধ করে। এই জন্য মহান আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস শক্রি সালি করতে হবে এবং সবমময় একমাত্র সাহায্য চাইতে হবে। হযরত মুহাম্মাদ (সা:) বলেন সকাল সন্ধায় সূরা এক্লাস ও সূরা ফালাক এবং সূরা নাস তিন বার করে পড়ো। তাহলে প্রতিটি ক্ষতিকর জিনিস থেকে নিরাপদতার জন্য জতেস্ট হবে।