অ্যাপেল কোম্পানির অজানা কিছু মজার তথ্য।


স্টিফ জবস এর হাত ধরে আধুনিক প্রযুক্তির চলা শুরু অ্যাপেল কোম্পানির অজানা কিছু মজার তথ্য। স্টিফ জবস এর এই ব্র্যান্ড টি অনেকের পছন্দের একটি ব্র্যান্ড এ বং অতিরিক্ত দাম হ‌ওয়ার কারণে অনেকেই এই ব্র্যান্ডটি পছন্দ করে না। একটি আইফোন তৈরিতে মোট 75 টির বেশি পদার্থ ব্যবহার করা হয়। পর্যায় সারণিতে উল্লিখিত মৌলিক পদার্থগুলোর এক-তৃতীয়াংশ। এর মধ্যে রয়েছে সোনা রুপা এমনকি প্লাটিনামও।


অ্যাপেল প্রতিষ্ঠিত হওয়ার অনেক সময় পর্যন্ত স্টিভ জবসের মাত্র 1 ডলার বেতন নিতেন তিনি মনে করেন টাকা নিয়ে ব্যাংকে ফেলে রাখার চেয়ে কোম্পানির মূলধন হিসেবে রেখে দিলে বরং অনেক ভালো হবে। অ্যাপেল কোম্পানির প্রতি মিনিটে ইনকাম 3 লক্ষ মার্কিন ডলার বা 25 কোটি 46 লাখ টাকারও বেশি যেখানে গুগলের ইনকাম 2 লাখ মার্কিন ডলার বা 16 কোটি 97 লাখ টাকা তাহলে বুঝতেই পারছেন অ্যাপেল কোম্পানির ইনকাম গুগলের থেকে অনেক বেশি।


2011 সালে অ্যাপেল কোম্পানির নগদ টাকা আমেরিকান সরকারকেও ছাড়িয়ে যায়। আপনি যদি অ্যাপেলের মূলধনকে পৃথিবীর প্রত্যেকটি মানুষের মধ্যে বিলিয়ে দিতে চান তাহলে পৃথিবীর প্রত্যেকটি মানুষ প্রায় 100 ডলার বা সাত হাজার টাকা করে পাবে। কিন্তু এই প্রতিষ্ঠানটি প্রাথমিক অবস্থায় অনেক অর্থ সংকটে পড়েছিল। যার ফলে স্টিভ জবস তার গাড়ি বিক্রি করে দেন এবং আরেকজন সহপ্রতিষ্ঠাতা স্টিভ ওয়াজনিয়াক তার ক্যালকুলেটর বিক্রি করে দেয়।


অ্যাপেলের প্রথম ফোনটি যখন স্টিভ জবসের হাতে দেয়া হয় তখন স্টিভ জবসের এটিকে নিয়ে একুরিয়ামের ভেতরে ফেলে দেয় এবং সে দেখতে পায় এর ভেতর থেকে বাতাসের বুদবুদ বের হচ্ছে এবং সে বুঝতে পারে এর ভিতর অবশ্যই কোন না কোন জায়গা ফাঁকা রয়েছে আর সে তার টিম মেম্বার দের বলেছিল এই ফাঁকা জায়গা গুলি পূরণ করে ফোনটি কে যেনো আরো ছোটো করা হয়।


যখন স্টিভ জবস আইফোন টি প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে দেখাচ্ছিলো তখন তার ডিসপ্লে ছিলো প্লাস্টিকের। তখন স্টিভ জবস লক্ষ্য করলো এর উপরে দাগ পড়ে যাচ্ছে। তখন স্টিভ তার দলকে বলে ছিল যে মার্কেটে যাওয়ার আগেই যেন স্ক্রিনটি প্লাস্টিকের পরিবর্তে কাচের করে দেয়া হয় আর তখন থেকেই মূলত গরিলা গ্লাসের উদ্ভাবন হয়।


আপনি যত জায়গাতে অ্যাপেল ফোনের প্রমোশনাল কোন ছবি দেখতে পাবেন প্রত্যেকটি ছবিতেই আই ফোনের স্ক্রিনে সময়টা পাবেন 09:41 মিনিট। এর কারণটি জানতে চান? এর কারণ হচ্ছে যখন স্টিভ জবস প্রথমবার আইফোন কে সবার সামনে উপস্থাপন করেছিলেন তখন সময়টা ছিল 09:41 মিনিট। সেজন্যই স্টিভ জবস চেয়েছিলেন সব জায়গাতেই প্রমোশনের ক্ষেত্রে যেন আই ফোনের স্ক্রিনে সেই সময়টা ব্যবহার করা হয়। যে নিয়ম এখনো পালন করা হয় এবং ভবিষ্যতেও হবে।


অ্যাপেলের ম্যাক বুকের কিবোর্ড কমান্ড নামের যে বাটন টি রয়েছে সেটিতে একটি স্পেশাল চিহ্ন ব্যবহার করা হয়। আপনি জেনে অবাক হবেন যে এই চিহ্ন টি সুইডেনের একটি রাস্তার চিহ্ন। যার অর্থ হচ্ছে মজার জায়গা। অ্যাপেল স্মার্টওয়াচের ডিসপ্লে তে যে অ্যানিমেটেড ফ্লাওয়ার গুলো দেখানো হয় সেগুলো মূলত বাস্তব ফুল কোনো অ্যানিমেটেড ফুল নয়। বাস্তব ফুলের কলি থেকে ফুল হয়ে ওঠে দৃশ্য গুলিকে ওয়ালপেপার দেখানো হয়েছে। আর এজন্য অ্যাপেল কে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে ক্যামেরা নিয়ে।


অ্যাপেল তাদের পণ্যগুলোকে কখনোই জাহাজে পরিবহন করে না। যদিও জাহাজে পরিবহন করা বিমানের চেয়ে অনেক সস্তা। তারা বিমানে তাদের পণ্যগুলোকে কেন পরিবহন করে? এর কারণ হিসেবে তারা মনে করে প্রোডাক্টের গুণগতমান, নিরাপত্তা এবং পরিবহন সময় কমিয়ে নিয়ে আসা। অ্যাপেল কোম্পানির প্রাইভেসি পলিসিতে একটি অধ্যায় আছে যেখানে বলা হয়েছে আপনি তাদের পণ্য কোন অস্র তৈরি কিংবা কোন পরীক্ষার কাজে ব্যবহার করতে পারবেন না। এরকম যদি করেন তাহলে আপনার ডিভাইসটিকে যদি কোন সমস্যা হয় তাহলে তার জন্য ওয়ারেন্টি নাও পেতে পারেন।


আপনি নিশ্চয়ই খেয়াল করেছেন যে প্রায় সবসময় স্টিভ জবস একইরকম কলার বিশিষ্ট জামা পরতেন। এর কারণ হিসেবে তিনি জানান জাপানি কোম্পানি সনি থেকে তিনি অনুপ্রাণিত হয়েছেন। মৃত্যুর কিছুদিন আগেই স্টিভ জবসের ক্যান্সার ধরা পড়ে। অ্যাপেলের বর্তমান সিইও টিম কুক খেয়াল করলেন তার নিজের রক্তের গ্রুপ এবং স্টিভ জবসের রক্তের গ্রুপ একই। সেজন্য তিনি স্টিভ জবস কে তিনি তার নিজের লিভার ডোনেট করার প্রস্তাব দেন। কিন্তু স্টিভ সেটা প্রত্যাখ্যান করেন এবং তার কিছুদিন পরেই মারা যান।


পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। আসসালাম অলাইকুম।

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post