বর্তমানে সময়ে ইন্টারনেটের প্রভাব রয়েছে অনেকটাই একটা সময় ছিল যখন মানুষ ইন্টারনেট সম্পর্কে কিছু জানত না। বর্তমান পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার 60% মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করছে তার সাথে সাথে ঝড়ের গতিতে বেড়ে চলেছে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা। মোট কথা আমাদের জীবন এখন ইন্টারনেট সমৃদ্ধ হয়ে গেছে যদি পৃথিবীতে এক মিনিটের জন্য ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যায় তাহলে পৃথিবীতে কোটি কোটি টাকা লস হয়ে যাবে।
1957 সালে যখন সোভিয়েত ইউনিয়ন তাদের প্রথম man-made স্যাটেলাইট তৈরি করে এবং এই খবর পৃথিবীর সব জায়গায় ছড়িয়ে যায়। তারপরে এই খবর যখন আমেরিকায় যেয়ে পৌঁছাই তখন সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং আমেরিকার মধ্যে একটি দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়। কারণ আমেরিকার আগেই সোভিয়েত ইউনিয়ন একটি man-made স্যাটেলাইট তৈরি করে ফেলে এবং লঞ্চ ও করে ফেলে। সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে ঝামেলা চলাকালীন তৎকালীন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট দোয়াইট ডি সম্ভবত 1958 সালে একটি সংস্থা তৈরি করে আমেরিকা রাষ্ট্রের জন্য যার নাম দেন ARPA (advanced research project agency) তৈরির মূল উদ্দেশ্য ছিল আমেরিকাকে পৃথিবীর অন্য দেশগুলোর থেকে সাইন্স ফিকশন বা টেকনোলজির দিক থেকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।
তারপর থেকে ARPA তাদের কাজকর্ম শুরু করে দেয়। বিভিন্ন রকম টেকনোলজি বা ইন্টারনেট তখনো আবিষ্কার হয় নিই বিভিন্ন রকম রিসার্চ করতে থাকে। এইভাবে রিসার্চ' করতে করতে ARPA ভেবে বসে বিভিন্ন কম্পিউটার বা অপারেটিং সিস্টেমকে কেন একটা নেটওয়ার্কে নিয়ে আসা যাচ্ছে না। তারা চাইছে যে বিভিন্ন কম্পিউটারকে একটি নেটওয়ার্কে নিয়ে আসতে মানে সার্ভার যেটাকে বুঝি আমরা। কিন্তু তখন সার্ভার এর আবিষ্কার হয় নিই যত সহজে আমরা এই ব্যাপারটা বলতে পারি। তখন ARPA ভাবতে থাকি কিভাবে মাল্টিপল কম্পিউটারকে একটি নেটওয়ার্ক এর ভেতর আনা যায়। এইভাবে ভাবতে ভাবতে একটি কোম্পানির সহযোগিতার নেয় যার নাম BBN NETWORK
ARPA এই নেটওয়ার্কের সঙ্গে মিলে চারটি কম্পিউটারকে একটি নেটওয়ার্কে নিয়ে আসতে সক্ষম হয়। ARPA আর BBN টেকনোলজি মিলে যে নেটওয়ার্ক সার্ভিস টি তৈরি করে যেখানে চারটি কম্পিউটারকে একত্রিত করা যায় বা একটি সার্ভার এর মধ্যে নিয়ে আসা যায় এই নেটওয়ার্কের নাম রাখা হয় ARPA NET। তখন থেকেই মূলত ইন্টারনেটের শুরু। যদিও এটি ইন্টারনেট ছিল না তবে এখান থেকে ইন্টারনেট আবিষ্কারের পর্যায় শুরু হয়েছে বলতে পারেন। এইভাবে ARPA NET কাজকর্ম করতে থাকে। এরপর ARPA NET এর সহযোগিতায় 1973 সালে ইঞ্জিনিয়াররা ভাবতে থাকে যে কেন আমরা তার ওয়ালা নেটওয়ার্ক ব্যবহার করছি।
তখন তারা চাইছিল একটি PR নেটওয়ার্ক তৈরি করতে।PR নেটওয়ার্ক বলতে প্যাকেট রেডিও নেটওয়ার্ক। যেটাকে আমরা রেডিও সিগন্যাল বলি। রেডিও সিগন্যাল টা ব্যবহার করে তারা এই যে প্রটোকলটি বানিয়েছিল এটাকে তারা PR NET এ পরিবর্তিত করতে চাইছিল। বিষয়টা এমন যে একটি রেডিও ট্রান্সমিটার ব্যবহার করা হবে একটা রেডিও ট্রান্সমিটার যেখান থেকে সিগনাল পাঠানো হবে এবং আরেকটা রিসিভার থাকবে যেটা ওই সিগন্যাল টা রিসিভ করবে। তারা কোন রকম তার বা টেলি সংযোগ ছাড়াই কাজ করতে থাকে। PR নেট তৈরি করার পর তিন বছর লেগে যায় এটাকে সম্পূর্ণভাবে সচল করতে। তারপর থেকে PR নেট চলতে থাকে। তারপর ARPA নেট এবং PR নেট সংযুক্ত হয়ে একটি SAT নেট আবিষ্কার করতে চাইছিল বিজ্ঞানীরা।
স্যাট নেট মানে স্যাটেলাইট নেট আগেই আমরা PR NET এবং ARPA নেট ইউজ করছিলাম তারপর এল স্যাটেলাইট নেটওয়ার্কিং এই তিনটা মিলিয়ে আজকে এসেছে short form ইন্টারনেট। আমরা যে ইন্টারনেট ব্যবহার করি তা PR NET ,ARPA NET, এবং স্যাটেলাইট net এর পরিবর্তে আমাদের কাছে ইন্টারনেট হিসেবে এসে পৌঁছেছে। এরপর 1989 সালে এসে এমন একটি সিস্টেম বা নেভিগেশন ডিজাইন করে ফেলেন বা আবিষ্কার করে ফেলেন যেটার নাম দেওয়া হয় WWW। যেটা আমরা সবাই জানি world wide web নামে। যেখানে একটি URL বা লিংক এর সাহায্যে আপনি ইন্টারনেটে পৃথিবীর এ মাথা থেকে ও মাথা তন্ন তন্ন করে ফেলতে পারবেন। যেটা 1989 সালে টিম বার্নার্স লি আবিষ্কার করেন। তারপর থেকেই ইন্টারনেট সম্পূর্ণ সাকসেসফুল হয়েছে।