দাজ্জালের ফিতনাসমূহ এবং ভয়াভহ ক্ষমতা।


শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।


দাজ্জালের ক্ষমতা এমন হবে - দাজ্জাল তার মজলিসে লক্ষ লক্ষ শ্রোতাদের উদ্দেশ্য অদ্ভুত অদ্ভুত কিচ্ছা কাহিনী আকর্ষণীয় ভাবে বর্ননা করবে। সেই কিচ্ছা কাহিনীর সাথে জড়িত বিভিন্ন প্রানী বা বস্তু বাস্তবে মাঠে প্রদর্শিত করবে। বিভিন্ন প্রানী যেমনঃ বাঘ, ভাল্লুক, কুকুর, সাপ, মাছ দাজ্জালকে সেজদা করবে, পায়ে চুম্বন করবে। অবস্থা এমন হলে কোন শ্রোতা কি দাজ্জালের বিরােধিতা করতে ইচ্ছে পােষণ করবে ?


দাজ্জালকে খুশি করার জন্য তার অনুসারীরা দাজ্জাল কেন্দ্রীক বিভিন্ন সংগীত মােহনীয় সুরে গাইতে থাকবে, সংগীতের তালে তালে অদ্ভুত অদ্ভুত জিনিস আকাশ বাতাসকে মাতােয়ারা করে তুলবে । যা শ্রোতাদের অবাক করে দিবে।


মজলিসে শ্রোতাদের গরম লাগছে ? দাজ্জাল বাতাসকে বলবে প্রবাহিত হও ! ওমনি বাতাস প্রবাহিত হয়ে শ্রোতাদেরকে শীতল করে দিবে। ঠান্ডা লাগছে ! বাতাসকে আদেশ করবে থেমে যাও ! ওমনি থেমে যাবে ! শ্রোতাদের অবস্থা তখন কেমন হবে ? দাজ্জাল ছাড়া কিছু বুঝবে কি তারা ?


ভরা মজলিসে দাজ্জাল জিজ্ঞেস করবে , " কার কার পিতা মাতা ইন্তেকাল করেছে ? হাত তােলেন ? অনেকে হাত উঠাবে। ভরা মজলিসে দাজ্জাল ওদের পিতামাতার নাম ধরে ডাকতে থাকবে। কয়েক ডাকের সঙ্গে সঙ্গে ওদের মৃত পিতা মাতা শ্রোতাদের চোখের সামনেই মাটি ফেটে বের হয়ে আসবে। মঞ্চে এসে দাজ্জালকে সালাম করে পায়ে সেজদায় পরে যাবে এবং বলবে প্রভু কেন ডেকেছেন ! এখন বলুন, এমন অবস্থা হলে কোন শ্রোতা দাজ্জালকে অস্বীকার করবে ?


দাজ্জালের মজলিসে উপস্থিত শ্রোতারা আবেদন করবে, খরা ও অনাবৃষ্টির কারণে ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে । দয়াকরে পানির ব্যবস্থা করুন। ভরা মজলিসে লক্ষ লক্ষ শ্রোতাদের সামনে দাজ্জাল আকাশকে আদেশ করবে, ওহে আকাশ বৃষ্টি ! বর্ষণ করাে ! সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টি বর্ষণ শুরু হয়ে যাবে !


দাজ্জাল কোন মানুষকেই জোর করে অনুসারী তৈরি করবে না। দাজ্জালের এসব মিরাকল তেলেসমাতি দেখে শিক্ষিত অশিক্ষিত প্রায় সকলেই তার অনুসারী বা মুরিদ হয়ে যাবে। দাজ্জালের এরকম বিভিন্ন ক্ষমতা থাকবে।


দাজ্জাল পৃথিবী জুড়ে বিভিন্ন মজলিসে একের পর এক তার ক্ষমতা প্রদর্শন করতে থাকবে। ফলে উপস্থিত শ্রোতারা দাজ্জালকে প্রভু হিসেবে মেনে নিবে। দাজ্জালের এসব মজলিসে পাক্কা মুসলিম উপস্থিত থাকলে সে মুসলিমও তার মুরিদ হয়ে যাবে।


নবি হয়রত মোহাম্মাদ (সাঃ) বলেছেন মুমিনদেরকে দাজ্জাল থেকে দুরে থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন।


বর্তমান সমাজেও অদ্ভুত অদ্ভুত কিচ্ছা কাহিনীর ছড়াছড়ি দেখতে পাচ্ছি ! যেসব কিচ্ছা কাহিনী না আছে কুরআনে না আছে হাদীসে ! বাঘের কিচ্ছা, কুকুর সাপের কিচ্ছা, মাছ ব্যাঙের কিচ্ছা আরাে কত কিচ্ছার যে আবির্ভাব ঘটবে একমাত্র আল্লাহই জানেন !


এসব কুরআন ও হাদীস বহির্ভূত কিচ্ছা কাহিনী মূলত দাজ্জালের মাঠ চর্ষিত করছে বৈ কিছু নয় ! আল্লাহ আমাদের সকলকে হক চেনার তৌফিক দান করুন, আমীন।


পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। আসসালাম অলাইকুম

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post