ভার্চুয়াল রিয়েলিটি
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হলো কম্পিউটার সিমুলেশনের সাহায্যে তৈরি ত্রিমাত্রিক পরিবেশ যা ব্যবহারকারীর কাছে সত্য ও বাস্তব বলে মনে হয়। একে সিমুলেটেড পরিবেশও বলা হয়। কম্পিউটার প্রযুক্তি ও অনুকরণবিদ্যার প্রয়োগে কৃত্রিম পরিবেশকে এমনভাবে তৈরি ও উপস্থাপন করা হয়,যা ব্যবহারকারীর কাছে সত্য ও বাস্তব বলে মনে হয়।
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যাখ্যা
- ভার্চুয়াল শব্দের অর্থ হচ্ছে কল্পনা
- রিয়েলিটি শব্দের অর্থ হচ্ছে বাস্তবতা
- ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হল কল্প বাস্তব।
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি এমন এক সিস্টেম যেখানে কম্পিউটার প্রযুক্তি ব্যবহার করে সিমুলেশনের মাধ্যমে কাল্পনিক বিষয়বস্তুকে বাস্তবরুপে উপস্থাপন করা যায়।
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি পদ্ধতি
ত্রিমাত্রিক ইমেজ তৈরীর মাধ্যমে অতি অসম্ভব কাজও সম্ভবপর করে। ভার্চুয়াল রিয়েলিটিতে প্রবেশের জন্য ব্যবহারকারীকে মাথায় বিশেষ সংবেদশীল হেলমেট, চোখে বিশেষ সানগ্লাস, হাতে বিশেষ গ্লোবস ও পায়ে বিশেষ যন্ত্রপাতি সম্পন্ন জুতা পরতে হয়। এগুলো পরে কম্পিউটার মনিটরের সামনে বসে কোন বিশেষ দৃশ্য দেখলেই সেটি বাস্তবে দেখছি বা করছি এরুপ অনুভব করে।
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি প্রয়োগক্ষেত্র
ভার্চুয়াল রিয়েলিটির গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োগক্ষেত্র হলো যুদ্ধের প্রশিক্ষণ, বিমান চালনা প্রশিক্ষণ, ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ড্রাইভিং, ভার্চুয়াল রিয়েলিটি গেমস, বিভিন্ন চমকপ্রদ স্থানে ভ্রমন, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, মহাকাশ পর্যবেক্ষণ, মেডিকেল চেকআপ ও চিকিৎসা, পন্যদ্রব্য প্রদর্শনী ইত্যাদি।
ভার্চুয়াল রিয়েলিটির বৈশিষ্ট্য
- এর সাহায্যে কোন দৃশ্য দেখা, শোনা ও অনুভব করা যায়।
- কিছু নির্দিষ্ট যন্ত্রে সজ্জিত একজন মানুষ পুরেপুরি ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ড বা কল্পনা জগতের স্বাদ গ্রহন করতে পারে।
- ভার্চুয়াল রিয়েলিটিকে 5 ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
Fully-immersive
Fully-immersive ভার্চুয়াল রিয়েলিটিতে থাকা অবস্থায় কোন ব্যক্তি সম্পূর্ণ বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন করে থাকে, যা প্রাকৃতিক জগত থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। শুধু ভার্চুয়াল রিয়েলিটির উপস্থিতিতে একজন ব্যক্তি যা দেখে, যা করে তা সব কিছুই শারীরিক ও মানসিক ভাবে সত্য বলে মনে হবে। Fully-immersive এমন একটি virtual world যেখানে সামনা সামনি সাগরের গভীরে হাঙ্গরের খেলা করা কিংবা বাঘের পিঠে চড়ে ঘুরে বেড়ানো সব কিছু সম্ভব।
Semi-immersive
Non-immersive ও Fully-immersive ভার্চুয়াল রিয়েলিটির মিলে তৈরি হয়েছে Semi-immersive ভার্চুয়াল রিয়েলিটি। বিভিন্ন ধরনের device যেমন computer screen বা VR box, Headset এর মাধ্যমে একজন ব্যক্তি ভার্চুয়াল জগতে হারিয়ে যেতে পারে।কম্পিউটারে থাকা মাউস ব্যবহারের মাধ্যমে আপনি আপনার আচরণ (movement ) নিয়ন্ত্রন করতে পারবেন।
Non-immersive
বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার দ্বারা character এবং activities নিয়ন্ত্রন করার প্রক্রিয়াকে বলে Non-immersive ভার্চুয়াল রিয়েলিটি। Non-immersive ভার্চুয়াল রিয়েলিটির বৈশিষ্ট্য হলো সরাসরি ভার্চুয়াল জগতের পরিবেশের সাথে না থেকে কোন ব্যক্তি এটা উপভোগ ক্রতে পারে। যেমনঃ ভিডিও গেম, গ্রাফিক্স অ্যানিমেশন ইত্যাদি।
Augmented Reality
একজন ব্যক্তি তার অফিসকে সুন্দরভাবে সাজাতে চাই এজন্য কোন একটি ফার্নিচারের দোকানে গিয়ে সেখানে বসে ফার্নিচার গুলো অফিস কক্ষগুলো সাজিয়ে দেখতে পারে কোথায় কোন জিনিস টা মানান সই দেখাচ্ছে। যে প্রক্রিয়ায় এটা সম্ভব সেটাই হল Augmented Reality। বর্তমানে অনেক টিভি সিরিয়ালে Augmented Reality বহুল ব্যবহার দেখা যায়।
Collaborative VR
বর্তমানে বিভিন্ন জনপ্রিয় গেম যেমন “PUBG” খেলা কালিন সময়ে কোন ব্যক্তি অন্যান্যদের সাথে এক আধুনিক ভার্চুয়াল রিয়েলিটি তে প্রবেশ করতে পারে যেখানে খেলোয়ারা তাদের ইচ্ছে মত গেমিং ক্যারেক্টার গুলোকে নিয়ন্ত্রন করতে পারে। গেম খেলার পাশাপাশি তারা তাদের “Headset”, Microphone, এর মাধ্যমে একে অপরের সাথে কথাও বলতে ও শুনতে পারে আবার চ্যাটিং ও করতে পারে। Collaborative VR তে projected virtual character হিসেবে আমরা ভার্চুয়াল জগতের সাথে সংযুক্ত থাকতে পারি।