পৃথিবীর রহস্যময় কিছু স্থান বা জায়গা।


এই পৃথিবীতে রহস্যময় অনেক কিছু রয়েছে। এর মধ্যে কিছু স্থান বা বিষয় রয়েছে যা অতি-প্রাকৃতিক। আর এ কারনেই এগুলো যুগ যুগ ধরে মানুষের কাছে হাজারো রহস্যে ঘেরা। আধুনিক বিজ্ঞানের উৎকর্ষতাও এ রহস্যের কোনো কারণ বর্ননা করতে পারে নি। বিজ্ঞানীরা এগুলোকে অতি-প্রাকৃতিক স্থান বলে অভিহিত করেছেন।


New Brunswick ( ম্যাগনেট পাহাড় )

পাহাড় এর মত উচু থেকে একটা বল বা গাড়ি যাই ছেরে দেয়া হোক, তা নিচের দিকেই নেমে যাবার কথা। উলটো টা হলে মাথায় চিন্তা হবা কথা স্বাভাবিক। প্রথম যে কথা টা মাথায় আসবে তা হলো পাহাড়ে মনে হয় "Magnet" আছে, কি বলেন ? 1930 সাল পর্যন্ত এর আকর্ষন বেশ জোরালো ছিলো। রহস্যময় কারনে তা কমে যায় এরপর প্রচলিত আছে ঘোড়ার গাড়িও টেনে নিতো উপর দিকে এই পাহাড়। এটি অবশ্য একটা পপুলার টুরিস্ট স্পট এখন।


Iceland ( সার্টসে )

কেউ যদি আপনাকে জিগেস করেন নতুন কি আছে যা আগে ছিলো না, নিশ্চিন্তে এটিকে দেখিয়ে দেন, কেননা এটি আসলেই নতুন। 1963 সালের আগে এখানে কিছুই ছিলো না, এমন কি পানির নিচে ডুবো পাহাড় ও না। এরপর একটি ভুমিকম্পের পর রহস্যজনক ভাবেই মাথা তুলে দারায় একটি লেক। সমস্যা হলো মাঝখানের লেক টির পানি মিষ্টি বা পান করা যায় এমন, লবনাক্ত না। ব্যাপার টা আবিষ্কার করা হয় এ অঞ্চলে কোন বৃষ্টি পাত হবার আগেই।


Japan ( আওকিঘারা )

জাপানের "Aokighara" জঙ্গলটি একটি রহস্যময় ভূখণ্ড। এটা "Japan" এর ফুজি পর্বতের পাদদেশে অবস্থিত। সাড়ে 3 হাজার হেক্টর স্থান জুড়ে অবস্থিত এই জঙ্গলটি কোঁকড়ানো ও মোচড়ানো গাছ পালায় পূর্ণ। গোটা এলাকাটি ভূতপ্রেতের অবাধ বিচরণ ভূমি বলে স্থানীয় জনগণের বিশ্বাস। দুর্ভাগ্যজনকভাবে স্থানটি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম আত্মহত্যার স্থান হিসেবে পরিচিত। পঞ্চাশের দশক থেকে এ পর্যন্ত 5 শতাধিক লোক এখানে আত্মহত্যা করেছে। এই জঙ্গলটি জাপানীদের কাছে আত্মহত্যা করার জায়গা হিসেবে পরিচিত। প্রতি বছর এখান থেকে প্রায় শখানেক মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। জাপানি নথিপত্রের হিসাব অনুযায়ী 1988 সাল পর্যন্ত এখানে গড়ে প্রতি বছর একশত লাশ পাওয়া গিয়েছে। 1998 সালে 78 টি, 2002 সালে 78 টি লাশ পাওয়া যায়। 2003 সালে এই সংখ্যা 100 তে গিয়ে পৌছায়। পরবর্তীতে 2004 সালে 108 জন ব্যক্তি নিজেদেরকে এখানে হত্যা করে। 2010 সালে প্রায় 247 জন ব্যক্তি আত্মহত্যার উদ্যগ নিলেও মাত্র 54 জন সফল হয়েছিলো। বর্তমানে দেশটির স্থানীয় সরকার এই হিসাব প্রকাশ করা বন্ধ করে দিয়েছে।


Venezuela ( ক্যাটাটাম্বো বজ্রপাত )

বজ্রপাত সবাই চিনি। দেশে বছরে কতদিন আর এর দেখা পাই বলুন। দেখতে হলে তো যেতে হবে ভেনিজুয়েলা তে এখানে বছরে 200 দিনের ও বেশী সময় বজ্রপাত হয়। কখনো কখনো মিনিটে 25 বার এর ও বেশী সময় বজ্রপাত হয়ে থাকে এখনে। প্রতি স্কয়্যার কিলোমিটারে প্রতিবছর গড়ে 250 বার বজ্রপাত হয়, চিন্তা করেন একবার।


Antarctica ( ম্যাকমার্ডো ড্রাই ভ্যালী )

অনেকের মতে "McMurdo Dry Valleys" বিশ্বের সবচেয়ে গোপন জায়গা। এই জনমানবহীন উপত্যকাটি বিশ্বের সবচেয়ে শুষ্ক মরুভূমির একটি সম্ভবত বিশ্বের সবচেয়ে শুষ্ক জায়গা। "Antarctica" বরফ ও তুষারের মধ্যস্থলে অবস্থিত হলেও প্রতিবছর এখানে মাত্র 4 ইঞ্চি বৃষ্টিপাত হয়। স্থানটি মেরুঅঞ্চলের বরফে ঢাকা থাকার কথা হলেও এটা সম্পূর্ণ বরফশূন্য ও খালি। এখানে কিছু শৈবাল দেখা গেলেও কোন গাছপালা নেই। বিজ্ঞানীদের মতে, পৃথিবী উপগ্রহের এই স্থানটির অদ্ভূত মিল রয়েছে মঙ্গল গ্রহের পরিবেশের সাথে।


Antarctica ( রক্তের জলপ্রপাত )

অনেক লোক বা বিজ্ঞানীই এটি চোখে দেখেন নি বা এর কোন ছবিও নেই, তবে এটি বর্তমান। একদল গবেষক "Antarctica" মহাদেশে গিয়ে এটি দেখতে পান এবং ছবি টি তোলেন। তাদের ধারনা ছিলো কোন অনুজীব এর ফলে এমন টা ঘটে। যদিও শূণ্যের অনেক নিচে হিম শীতল আবহাওয়াতে টিকে থাকা অনেক টা অসম্ভব একটা ব্যাপার। ধারনা করা হয় সেখানের মাটিতে অনেক পরিমান "Iron ও Sulfur" এর কারনে পানির রঙ লাল। এটা কিন্তু সুধুই ধারনা, সেই পানি কেন লাল রঙের মত হলো সেটার ও কোন উত্তর নাই।


Atlantic Ocean ( বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল )

"Bermuda Triangle" যা শয়তানের ত্রিভূজ নামেও পরিচিত। "Atlantic" মহাসাগরের একটি বিশেষ অঞ্চল, যেখান বেশ কিছু জাহাজ ও উড়োজাহাজ রহস্যজনক ভাবে নিখোঁজ হয়ে যওয়ায় কথা বলা হয়। অনেকে মনে করেন ঐ সকল কারণ নিছক দূর্ঘটনা বিজ্ঞানীদের মতে। যার কারণ হতে পারে প্রাকৃতিক দূর্যোগ অথবা চালকের অসাবধানতা। আবার চলতি উপকথা অনুসারে এসবের পেছনে দায়ী হল কোন অতিপ্রকৃতিক কোন শক্তি।

Collect Your Code "K"


Brazil ( মাউন্ট রোরাইমা )

"Mount Roraima" সমতল শীর্ষ বিশিষ্ট পর্বতমালা যার স্থানীয় নাম "Tipu". খুবই দুর্গম আর মেঘে আবৃত-ভেজা রহস্যময় "Tipu". এমনকি শুকনো মৌসুমেও মেঘে ঢাকা থাকে। এই পবর্তমালার প্রথম আলোচনায় আসে 1596 সালে। 31 বর্গ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে অবস্থান আর চারদিক 400 মিটার লম্বা ক্লিফ দ্বারা বেষ্টিত এই পর্বতমালার অবস্থান তিন দেশের সীমান্তে "Venezuela, Brazil আর Guyana". কিন্তু একমাত্র "Venezuela" সীমান্ত দিয়েই এই দুর্গম পর্বতে প্রবেশ করা যায়। এই অপূর্ব সুন্দর পবর্তটি বছরের বেশিরভাগ সময় মেঘে ঢাকা থাকে।


China ( মগুইচেং )

চীনের "Moguicheng" ঝিনজিয়াং অঞ্চলের একটি মরুভূমি হচ্ছে "মগুইচেং"। এর আক্ষরিক অর্থ "শয়তানের নগরী"। স্থানটি সম্পূর্ণ পরিত্যক্ত ও জনশূন্য। অনেক অদ্ভূত ঘটনা এখানে ঘটে বলে লোকজন জানিয়েছেন। দর্শনার্থীরা এই স্থানে রহস্যময় আওয়াজ, বিষন্ন সুর, গিটারের মৃদু ধ্বনি, বাচ্চাদের কান্না এবং বাঘের গর্জন শুনতে পেয়েছেন বলে দাবি করেন। এসব শব্দের কোন উৎসের সন্ধান আজো কেউ পায় নি।


পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। আসসালাম অলাইকুম

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post